ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার প্রতিশোধ না নিতে ইরানকে অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান যদি আবারও জবাব দিতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত থাকব এবং ইরানকে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে এই সরাসরি হামলা-পাল্টা হামলা এখানেই শেষ হওয়া উচিত। ওয়াশিংটন লেবাননে যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিতে এবং আটক জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনের বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জনের চেষ্টা করার জন্য প্রস্তুত।
এর আগে ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের উপর ইসরায়েলের আক্রমণের জবাব দিতে তারা প্রস্তুত। ইরানি রেভ্যুলশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্থাটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কোনো সন্দেহ নেই ইসরায়েল তার কৃতকর্মের যথাযত প্রতিক্রিয়া পাবে।
ইরানে অনেকটা ‘প্রতীকী হামলা’ চালিয়ে দায় সেড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইসরাইয়েলি বিমান বাহিনী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উত্পাদন কেন্দ্রগুলোতে আঘাত করেছে যেখানে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ইরান গত বছর ইসরায়েলে ছুঁড়েছিল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে গতরাতের হামলায় তারা ইরানি আকাশ প্ররিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করেছে।
যদিও তেহরানের আকাশে ইসরায়েলি ড্রোন প্রতিহত করার একাধিক ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে আক্রমণগুলো সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে তবে কিছু জায়গায় ‘সীমিত ক্ষতি’ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৪
এমএম