বলিভিয়ায় নির্মীয়মাণ একটি গবেষণা রিয়্যাক্টরে প্রারম্ভিক লোডিংয়ের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি প্রস্তুত সম্পন্ন করেছে রাশিয়ার রসাটমের জ্বালানি বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠান নভোসিবিয়েরস্ক কেমিক্যাল কন্সেন্ট্রোস প্ল্যান্ট। ইতোমধ্যে জ্বালানিগুলো সফলভাবে এক্সেপটেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এল-আলটোতে অবস্থিত বলিভিয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিসের অন্তর্ভুক্ত এটি দেশের প্রথম গবেষণা রিয়্যাক্টর। রসাটমের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বলিভিয়ার অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি।
২০২৩ সালে প্রকল্পটির জন্য রসাটম রিয়্যাক্টর ভেসেল সরবরাহ করে। পুল টাইপ এই রিয়্যাক্টরটির জীবনকাল ৫০ বছর। রসাটম কর্তৃক ডিজাইন ও প্রস্তুত করা জ্বালানি অ্যাসেম্বলিগুলো প্রতিকূল পরিস্থিতি যেমন ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, এমএসকে ৬৪ মাত্রায়ও তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
রসাটমের টেভেল জ্বালানি কোম্পানির সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেগ গ্রেগোরিয়েভ বলেন, বলিভিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম দেশ যেখানে আমরা পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করছি। রাশিয়া এবং রাশিয়ার বাইরে গবেষণা রিয়্যাক্টর নির্মাণে আমাদের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমরা এ রিয়্যাক্টরে পুরো আয়ুষ্কর ধরে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করে থাকি। বিগত ৫০ বছর ধরেই নভোসিবিয়েরস্ক কেমিক্যাল কন্সেন্ট্রোস প্ল্যান্ট পারমাণবিক জ্বালানি এবং এর বিভিন্ন অংশ তৈরি এবং বিশ্বের বিভিন্ন রিয়্যাক্টরগুলো সরবরাহ করে আসছে।
বলিভিয়ার বিআরআর-১ রিয়্যাক্টরে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য রেডিও আইসোটোপ বানানো হবে। নিউট্রন অ্যাক্টিভেশন অ্যানালাইসিস পদ্ধতির মাধ্যমে এখানে বিভিন্ন বস্তুর রাসায়নিক গঠন নিয়ে গবেষণা করা যাবে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে এ জাতীয় গবেষণার চাহিদা রয়েছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রস্তর, আকরিক ও কন্সেন্ট্রোস, জৈব স্যাম্পল ইত্যাদির গঠন নির্ণয় করে থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদের দক্ষ ব্যবহার এবং পরিবেশের অব্যাহত মনিটরিং এজন্য প্রোগ্রাম তৈরিতেও এই পদ্ধতিটি কার্যকর। পরমাণু বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যবহৃত হবে ওই গবেষণা রিয়্যাক্টরটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৪
এসকে/এএটি