দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। ১৮১ যাত্রী-ক্রু নিয়ে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।
দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় উড়োজাহাজটির। এ সময় ওই উড়োজাহাজে মোট ১৭৫ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিল।
জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফেরত গিয়ে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাই নাগরিক।
মধ্য আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান চলাচল করে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ছে এবং দেয়ালে গিয়ে আঘাত করছে। কিন্তু দেয়ালে আছড়ে পড়ার আগেই উড়োজাহাজের এক অংশে আগুন ধরে যায়।
এখনও পর্যন্ত কোনো কারণ নিশ্চিত করা হয়নি, তবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে যে এটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে হতে পারে।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার আগের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এক যাত্রী পরিবারের একজন সদস্যকে পাঠানো এক বার্তায় জানান, ‘একটি পাখি উড়োজাহাজের ডানায় আটকে গিয়েছিল’ এবং বিমানটি অবতরণ করতে পারছিল না।
‘আমি কি শেষ কথা লিখে যাব?’ ওই যাত্রী এমনই লিখেছিলেন।
পরিবারের সদস্য জানান, এরপর তারা আর ওই যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
আরএইচ