দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজের ১৮১ জন আরোহীর ১৭৯ জনই নিহত হয়েছেন। জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফেরত গিয়ে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে।
বিবিসি জানায়, ওই উড়োজাহাজের ১৭৯ আরোহী নিহত হয়েছেন। বেঁচে যাওয়া দুই ক্রু-কে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওই উড়োজাহাজে ১৭৫ যাত্রী ছিলেন। বাকিরা ছিলেন ক্রু। সব যাত্রীই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন। ওই ফ্লাইটের চার ক্রুও নিহত হয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাই নাগরিক।
মধ্য আকারের এ বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান চলাচল করে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ছে এবং দেয়ালে গিয়ে আঘাত করছে। কিন্তু দেয়ালে আছড়ে পড়ার আগেই উড়োজাহাজের এক অংশে আগুন ধরে যায়।
এখনও পর্যন্ত কোনো কারণ নিশ্চিত করা হয়নি, তবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে যে এটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে হতে পারে।
বিবিসি এর আগে জানিয়েছিল, কর্মকর্তারা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি ব্ল্যাক বক্স – ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার – উদ্ধার করেছেন।
বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানায়, একটি ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ভয়েস রেকর্ডার অপরিবর্তিত রয়েছে।
একজন তদন্তকারী ওই বার্তাসংস্থাকে জানান, ক্ষতির কারণে তথ্য উদ্ধার করতে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
আরএইচ