ঢাকা: ভারতের দক্ষিণ পশ্চিমের রাজ্য কেরালার পুত্তিঙ্গল মন্দিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এরইমধ্যে রোববার (১০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টার দিকে কেরালার উদ্দেশে উড়োজাহাজে চেপে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী।
দুপুরের পরই ঘটনাস্থলে যাবেন রাহুল গান্ধী ও তার সঙ্গে কিছু কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের নেতা। এছাড়া, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহও পুত্তিঙ্গল মন্দির ছুটে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি কেরালায় নির্বাচনী সব সভা-সমাবেশ স্থগিত করেছেন।
অগ্নিকাণ্ডস্থলে ছুটে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্দিসহ অন্য মন্ত্রীরাও। এছাড়া, রাজ্যের কংগ্রেস পার্টিসহ প্রায় সব দল দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল করেছে।
রোববার (১০ এপ্রিল) ভোরে রাজ্যের রাজধানী তিরুবন্তপুরম থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় শহর কোলামের পুত্তিঙ্গল মন্দিরে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫০ জন।
মন্দিরটিতে একটি ধর্মীয় উৎসব উদযাপনকালে ফাটানো আতশবাজির স্ফূলিঙ্গ এর স্তূপের ওপর পড়ে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভোরের দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের পর সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় রাজ্যের ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, উৎসব চলাকালে মন্দিরটিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অগ্নিকাণ্ডে তৎক্ষণাৎ শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার টুইটার বার্তায় জানান, তিনি শিগগিরই এই পরিস্থিতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এরপরই এ ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ও আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ হাজার করে রুপি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডস্থলে উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী ও জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।
শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্দি জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি, ভাইস প্রেসিডেন্ট হামিদ আনসারী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত সিং, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, মন্দিরে আতশবাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও তা ফাটানো হয়েছে। এ ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষের নামে একটি মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬
এইচএ/