ঢাকা: তার বয়স ৬৯। এমন বয়সে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে দুষ্টামিতে মেতে থাকার কথা।
কারণ এ দূরত্ব অতিক্রমের পরই খুঁজে পাওয়া যায় নারকেল গাছ। আর এসব গাছে উঠে নারকেল পেরে দিলেই কেবল কপালে জুটে অর্থ। আর সেই অর্থ দিয়ে চলে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পরিবারের ভরণপোষণ।
আরও পড়ুন- পথ নেই, তাই মই বেয়ে পাহাড় ডিঙ্গায় খুদে স্কুলগামীরা
পরিশ্রমী এই মানুষটির নাম সাদ বাহাদুন। মালোশিয়ার ক্যাম্পুং ক্যারক সিমিলিয়াংয়ে তার বসবাস। প্রতিদিন বিভিন্নস্থানে গিয়ে ছোট, মাঝারি ও বড় বিভিন্ন উচ্চতার নারকেল গাছ থেকে নারকেল পারতে হয় তাকে। এটাই তার পেশা। দিনে অন্তত ১০টি নারকেল গাছে উঠেন তিনি।
নারকেল গাছের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি গাছে ওঠেন। প্রতি ১০টি নারকেল পারলে তিনি পান চারটি নারকেল। আর বাজারে প্রতিটি নারকেল বিক্রি করেন দেড় রিঙ্গিত। দিনে সবমিলিয়ে উপার্জন করেন ২০ রিঙ্গিতের (৩৭৯ টাকা) মতো। আর সেই টাকায় কেনা বাজার বাড়িতে এলেই চুলায় জ্বলে আগুন, সবার মুখে পড়ে খাবার।
গাছে উঠার সময় তাকে নানা পোকা-মাকড়ের কামড়ও খেতে হয়। জীবিকার প্রয়োজনে সব কিছু মেনে নিয়েই দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চলছে তার নারকেল গাছে উঠার সংগ্রাম।
আরও পড়ুন- কাজের চাপে ডায়াপার পরতে হচ্ছে কর্মীদের
ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজ ছেড়ে অনেকে তাকে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু পরিবারের প্রয়োজনে তিনি এটা ছাড়তে পারেননি। সাদ বাহাদুন বলেন, ‘এ কাজ শুধু আমার জন্যই। আমি সত্যিই এই পেশার জন্য যোগ্য। অনেকে এই কাজ ছাড়তে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এ কাজের বিকল্প আমি কিছু খুঁজে পাই না। ’
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার ৫২তম স্বাধীনতা দিবসে একটি নারকেল গাছের উঁচুতে দেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলাম।
সর্বোচ্চ উচ্চতায় দেশের পতাকা নিজ হাতে উত্তোলন করে সাদ বাহাদুন ভীষণ গর্বিত বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৬
আরএইচএস/টিআই