ঢাকা: জরুরি প্রয়োজনে এবং ধর্ষণ রুখতে মোবাইলের পর এবার ভারতের বাসগুলোতে সংযুক্ত হচ্ছে ‘পেনিক বাটন’। এখন থেকে দেশটির নতুন বাসগুলোতে সংযুক্ত এই বাটনের মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত কল করে সাহায্য চাইতে পারবেন আক্রান্তরা।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) দেশটির পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়।
যন্ত্রটির সঙ্গে একটি ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা লাগানো থাকবে। সেই সঙ্গে বাসটির অবস্থান নির্ধারণ করতে থাকবে ভেইকেল ট্রাকিং সিস্টেম। বাটন চাপার সঙ্গে-সঙ্গে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে সাহায্য চেয়ে একটি জরুরি বার্তা চলে যাবে। আর বার্তা পাওয়ার পর পুলিশ ক্যামেরার মাধ্যমে বাসটিতে কী হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করে অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে।
জানা যায়, রাজস্থানে পরীক্ষামূলকভাবে এই পেনিক বাটনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেখানকার ১০টি বিলাসবহুল বাস ও ১০টি সাধারণ যাত্রীবাহী বাসে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।
এর আগে জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত কল করার জন্য ২০১৭ সালের প্রথম দিন থেকে ভারতের বাজারে সব ধরনের মোবাইল ফোনে ‘পেনিক বাটন’ বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। ওইদিন থেকে ‘বিশেষ’ এ বাটন ছাড়া একটি ফোনও বিক্রি করা যাবে না।
শুধু তাই নয়, পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সব ফোনে ইন-বিল্ট জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) নেভিগেশন সিস্টেমও বাধ্যতামূলক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির টেলিকমিউনিকেশন বিষয়ক মন্ত্রী রাভি শঙ্কর প্রসাদ।
ভারতে দিন-দিন বেড়েই চলছে ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য মতে, দেশটিতে ২০১৫ সালে মোট ৩২ হাজার ৭৭টি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অর্থ্যাৎ প্রতি এক ঘণ্টায় একজন করে নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৬
আরএইচএ/টিআই