ঢাকা: পরিবারের অমতে বিয়ে করায় মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছেন এক মা। পাকিস্তানের লাহোরে ঘটেছে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ড।
পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (৮ জুন) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়, আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার আগে মেয়েকে ব্যাপক নির্যাতন করেন ওই মা।
আটক হওয়ার পর ৫০ বছর বয়সী পারভীন নামে ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি তার মেয়ে জিনাত রফিককে নির্যাতনের পর বিছানায় বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, ১৮ বছর বয়সী জিনাতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্নি রয়েছে দেখা যাচ্ছে। তবে, তার গায়ে আগুন ধরানোর সময় পর্যন্ত তিনি বেঁচে ছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে ময়নাতদন্ত হবে।
স্থানীয় পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট ইবাদাত নিসার বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে জিনাতের ভাই পলাতক। মা পারভীনকে মেয়ে জিনাতের ভস্ম মরদেহের পাশ থেকে আটক করা হয়।
ইবাদাত নিসার জানান, মা তার মেয়েকে আগুনে পুড়িয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। কিন্তু ৫০ বছর বয়সী এ নারী কারও সহযোগিতা ছাড়া এ হত্যাকাণ্ড এভাবে চালাতে পারেন কিনা তা নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে। সে কারণে এ ঘটনার তদন্ত হবে।
পাকিস্তানে এক মাসের মধ্যে একই রকমের তৃতীয় ঘটনা এটি। এর আগে গত সপ্তাহে ইসলামাবাদের কাছে মুরি এলাকায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মারিয়া সাদাকাত নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে আগুনে পুড়িয়ে মারে এক বখাটে। তারও আগে অ্যাবোটাবাদে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে বান্ধবীকে সহযোগিতা করার অপরাধে এক কিশোরীকে পুড়িয়ে মারা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৬
এইচএ/