ঢাকা: নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার চূড়ান্ত নজির দেখালো আফগানিস্তানের তালেবানরা। জীবন্ত অবস্থায় ফজল আহমেদ নামে এক তরুণের বুকের চামড়া তুলে নিয়েছে তারা।
আর ঘটনাটি তারা ঘটিয়েছে এক তালেবান কমান্ডার হত্যাকাণ্ডে ফজলের দূর সম্পর্কের আত্মীয় জড়িত বলে সন্দেহ করে এর বদলা হিসেবে।
আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে তালেবানদের ঘটানো ঘটনাটি বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে তুমুল আলোচিত হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, সন্দেহের বশে গত ডিসেম্বরে ২১ বছর বয়সী ফজলকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তালেবানরা। যেতে যেতে তার চোখ উপড়ে ফেলে।
এরপর ফজলকে তারা উঠিয়ে নেয় ১০ তলা উঁচু মতো একটি উঁচু পর্বতে। সেখানে বর্বরভাবে তার বুকের চামড়া তুলে নিতে থাকে পাষণ্ডরা। একপর্যায়ে ফজলের বুক বিদীর্ণ করে তার হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে ফেলে নৃশংস তালেবানরা।
এই ঘটনাটি জানতে পারার পর ওই এলাকার সংসদ সদস্য রুকিয়া নাঈল বলেন, আমরা ভাবতেও পারি না, তারা ফজল জীবিত থাকাবস্থায় তার বুকের চামড়া তুলে নিয়েছে। একজন মানুষকে এভাবে মারা যেতে পারে।
তালেবানরা এই বর্বরতার দায় স্বীকার না করলেও এ নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে একটি প্রামাণ্যচিত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দেড় দশক ধরে ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তানে তালেবানদের বর্বরতার সর্বশেষ নজির এটি। এ নিয়ে হতবিহ্বল ফজলের পরিবার ও এলাকা।
তালেবানদের বর্বরতা নিয়ে গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি বলেছিলেন, বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে তালেবানরা যা করছে তা মানবতাবিরোধী, আফগানিস্তানবিরোধী এবং জনবিরোধী অপরাধ। এ ধরনের বর্বরতা থামাতে আফগান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তার ওই বক্তব্যের পরই আফগান সংবাদমাধ্যমে এ বর্বরতার খবরটি ছড়ালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৬
এইচএ/