ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীকে মুসল্লি, ছবি ভাইরাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীকে মুসল্লি, ছবি ভাইরাল নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীকে নামাজরত মুসল্লিদের এই ছবি এখন অনলাইনে ভাইরাল-ছবি: সংগৃহীত

শুরুতে দেখে মনে হবে এটা নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীক ‘রূপালী ফার্ন’। কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, দেশটির জাতীয় প্রতীকের আদলে নামাজরত বিভিন্ন ভঙ্গিতে ৫০ জন মুসল্লির সারি আঁকা হয়েছে ওই ছবিতে। ছবিতে দেখা যায় কেউ নামাজের নিয়ত বাঁধছেন, কেউ রুকু করছেন, কেউ সেজদায় আবার কেউবা মুনাজাতরত।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি এঁকেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক কার্টুনিস্ট। প্যাট ক্যানবেরা টাইমস পত্রিকায় কাজ করেন ক্যাম্পবেল নামের এই কার্টুনিস্ট।

সারা বিশ্বের মতো ক্রাইস্টচার্চের ওই সন্ত্রাসী হামলা তার মনেও দাগ কেটেছে। তাই নিহতদের প্রতি সম্মান জানাতে এমন উদ্যোগ নেন তিনি।

ছবিটি নিয়ে ক্যাম্পবেল বলেন, 'শুরুতে আমি ৪৯টি চরিত্র এঁকেছিলাম। পরে যখন (হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়) ৫০ জন নিহত হওয়ার কথা জানতে পারলাম, আমি আরও একটি যোগ করি। '

সপ্তাহজুড়ে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছবিটিতে সরলভাবে যে ‘দর্শনীয় সৌন্দর্য’ তুলে ধরা হয়েছে তার প্রশংসা করছে সবাই। কোনো বাক্য ছাড়ায় ছবিটিতে ঘটনার ভয়াবহতা ও মানবিকতা দুটোই অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ক্যাম্পবেল।

ছবির আঁকিয়ে ক্যাম্পবেল জানান, ক্রাইস্টচার্চে তার বেশ কয়েকজন বন্ধু আছে এবং তিনি নিজেও সেখানে অনেকবার গিয়েছেন। ‘শহরটি কেবলই ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে উত্তরণ করেছে, এর মধ্যেই এমন ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক,’ যোগ করেন তিনি।

হামলার ঘটনার কথা জানার পরদিন সকালে আক্রান্তদের কথা ভাবতে ভাবতেই তার মাথায় কার্টুনটি আঁকার আইডিয়া আসে। তিনি বলেন, 'আমি জানি রুপালি ফার্ন পাতা নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তারপর সেটি আঁকার সিদ্ধান্ত নিলাম নিহতদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে। '

এই ছবিকে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবেই দেখছেন ক্যাম্পবেল। তবে তার এই ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যাবে তা ভাবেননি তিনি। টুইটারে ছবিটি শেয়ার করার পরই তা মুহূর্তে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, যারা ছবিটি ব্যবহার করে ক্রাইস্টচার্চ হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ফান্ড গঠন করতে চান তাদের জন্য ছবিটি উন্মুক্ত।

অনেকে তাকে ছবিটির জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছেন। হয়তো এজন্য কোনো পুরস্কারও জিতে যেতে পারেন তিনি।  তবে তার এই ছবি যে মানুষের মন ছুঁয়ে যেতে পেরেছে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়কে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা দিতে পেরেছে তাতেই তিনি খুশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।