ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘সেরা রায়’ বলে অযোধ্যায় মন্দির করতে মুসলিম নেতার অনুদান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
‘সেরা রায়’ বলে অযোধ্যায় মন্দির করতে মুসলিম নেতার অনুদান ওয়াসিম রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে ৫১ হাজার রুপি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যটির কেন্দ্রীয় শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভী। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাম মন্দির প্রতিষ্ঠায় অর্থ অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন রিজভী।  

এসময়, বিতর্কিত এ জমি নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন সেটিকে এসময়ের ‘সেরা রায়’ হিসেবেও আখ্যা দেন রিজভী।

তিনি জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা রামের জন্মভূমি বলে দাবি করা এ জায়গাটিতে মন্দির প্রতিষ্ঠায় আদালতের দেওয়া রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।  

তার ব্যক্তিগত সংগঠন ‘ওয়াসিম রিজভী ফিল্ম’ থেকে তিনি মন্দির নির্মাণের জন্য ‘রাম জন্মভূমি নিয়াসকে’ ৫১ হাজার রুপি অনুদানের ঘোষণা দেন।  

অযোধ্যার এই বিতর্কিত জায়গা নিয়ে বিবাদের মূলে ছিল ১৬ শতকের বাবরি মসজিদ, যা ১৯৯২ সালে এক দাঙ্গায় ভেঙে ফেলে বেশ কিছু হিন্দু চরমপন্থি। ওই দাঙ্গায় প্রায়  দু’হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। অনেক হিন্দুর বিশ্বাস, একটি হিন্দু মন্দির গুড়িয়ে তার জায়গায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করে আক্রমণকারী মুসলিমরা।  

তবে, মুসলিমদের বক্তব্য, ১৬ শতক থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত তারা ওই মসজিদে প্রার্থনা করে আসছেন তারা। ১৯৪৯ সালে কিছু চরমপন্থি হিন্দু মসজিদটিতে একটি রাম মূর্তি প্রতিষ্ঠা ক’রে পূজা শুরু করে। সেই থেকে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ই জায়গাটির মূল মালিকানা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে দশকের পর দশক।  

অবশেষে, ৯ নভেম্বর (শনিবার) বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গাগৈ’র নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ বহুল প্রতীক্ষিত বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় অনুসারে, মসজিদের বিতর্কিত ওই জমি সরকার পরিচালিত একটি ট্রাস্টকে দেওয়া হবে। তারা সেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করবে। অন্যদিকে মসজিদ নির্মাণের জন্য শহরের উপযুক্ত কোনো জায়গায় মুসলমানদের পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
কেএসডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।