ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলা: শুনানি ডিসেম্বরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলা: শুনানি ডিসেম্বরে

ঢাকা: রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস’-এ (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানি চলতি বছরের ডিসেম্বরে শুরু হবে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইসিজে ট্রাইব্যুনালের বরাতে এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

এক বিবৃতিকে আইসিজে জানায়, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা গাম্বিয়ার এই মামলার গণশুনানি ১০-১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় দ্রুতই এ মামলায় রায় দিতে আইসিজেকে অনুরোধ করা হবে বলে জানিয়েছে গাম্বিয়া।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর দেশটির বিচারমন্ত্রী আবু বকর তামবাদুর বরাতে মামলা দায়েরের তথ্যটিও জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

সেসময় খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আদালতে ৪৬ পৃষ্ঠার এক অভিযোগপত্রে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, ধর্ষণ ও উচ্ছেদের অভিযোগ আনে গাম্বিয়া।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবরে রোহিঙ্গা ‘নির্মূলে’ এক অভিযান চালায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এ অভিযানে তারা রোহিঙ্গা হত্যা, ধর্ষণসহ বিভিন্ন যৌন নিপীড়ন চালায়। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের বাড়িতে আটকে রেখে পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

গাম্বিয়া ও মিয়ানমার, দু’টি দেশই আইসিজের সদস্য রাষ্ট্র। আইসিজের নীতি অনুযায়ী, সদস্য রাষ্ট্রগুলো অবশ্যই গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ থেকে বিরত থাকবে।  

শুধু তাই নয়, অন্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনে বাধা দেওয়া বা এ ধরনের অপরাধে কোনো দেশকে বিচারের আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে সদস্যদের।

রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এরও আগে থেকে কয়েক ধাপে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

তবে ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে অভিযান চালায় সেটাকে ‘জাতিগত নিধন’ ও ‘হত্যাযজ্ঞ’ আখ্যা দেয় জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।