সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
হংকংয়ে এখন পরন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) উপদেশের পরিপন্থি।
স্বাস্থ্যকর্মীদের নবগঠিত সংগঠনের চেয়ারওম্যান উইনি ইউ বলেন, সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করা না হলে ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। সেই মহামারী মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত জনশক্তি, পৃথক কক্ষ ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি নেই।
সোমবার ধর্মঘট শুরু করেছেন ‘অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ’ কয়েকশ’ স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের দাবি না মানা হলে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসক ও সেবিকারাও ধর্মঘটে অংশ নেবেন।
হংকংয়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বাস। এটি চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক চেকপয়েন্টের মতোই কাজ করে হংকং-চীন সীমান্ত।
চীনে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬১ জন। চীন ছাড়া শুধু ফিলিপাইনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অনেক দেশ। সদ্য চীন ভ্রমণ করেছেন এমন বিদেশিদের দেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইসরায়েল ও সিঙ্গাপুর। ভাইরাস প্রথম ছড়িয়ে পড়া চীনের হুবেই প্রদেশ ভ্রমণ করেছেন এমন বিদেশিদের দেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া, অন্য অনেক দেশ চীনগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে।
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডক্টর তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান, স্বাস্থ্যসেবার যন্ত্রপাতি, ওষুধ আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে।
নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে সীমান্তে মানুষদের স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সীমান্ত বন্ধ করে হলে অন্যভাবে পর্যটকরা দেশে প্রবেশের কারণে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এফএম