ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত ৩৬১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
এদিকে প্রতিনিয়ত ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীর তথ্য আসায় ১৪০ কোটি মানুষের দেশটিতে আতঙ্ক বাড়ছে। ভাইরাস মোকাবিলায় প্রাথমিক মাস্কের গুরুত্ব থাকায় চাহিদার যোগান দিতে না পারায় মেডিক্যাল কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সরঞ্জাম ঘাটতির কথা বলেছে। যা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক আরো বাড়িয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুয়িং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ মুহূর্তে চীনের জরুরিভিত্তিতে যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হলো মাস্ক। এছাড়া রোগ প্রতিরোধী স্যুট এবং গগলসের প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
শিল্প-কারখানা থেকে প্রাপ্ত এক তথ্যে জানা যায়, পূর্ণ সামর্থ্য নিয়ে উৎপাদন করলে চীনের কারখানাগুলো একদিনে সর্বোচ্চ দুই কোটি মাস্ক উৎপাদন করতে পারে।
এদিকে করোনা ভাইরাসে ‘খেই’ হারিয়ে ফেলা চীনের পাশে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কাজাখস্তান ও হাঙ্গেরি। দেশগুলো বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে দেশটির শিল্পমন্ত্রী তিয়ান ইলং জানান, ইউরোপ, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাস্ক আনতে পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চীনে বর্তমানে মাস্কের উৎপাদন ও চাহিদা ‘সমান-সমান’ রয়েছে। লুনার নতুন বর্ষের ছুটি শেষে কারখানারগুলোর কাজ শুরু হলে অবস্থার উন্নতি হবে।
ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হুবেইসহ আরো বিভিন্ন প্রদেশের কর্তৃপক্ষ জনগণকে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ‘অবশ্যই’ মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে।
তবে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মাস্ক কতটুকু কার্যকর সে নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন যুক্তি রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন চোখের মাধ্যমেও এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
জেডএস