বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এদিকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউন ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্লামেন্ট।
ধারাবাহিকভাবেই স্পেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু বেড়েই চলেছে। ইতালির পর মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশটি।
শুরুতে চীনে তাণ্ডব চালিয়ে ৩ হাজার ২৮৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা ভাইরাস। এরপর দেশটি এ মহামারির ধকল বলতে গেলে ভালোভাবেই সামাল দেয়। দেশটিতে প্রতিদিনই মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী। কিন্তু চীন রোগটির বিস্তার সামলাতে পারলেও ইউরোপের দেশগুলোতে ভয়াবহ থাবা বসিয়েছে কভিড-১৯। মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় খুব দ্রুতই চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৫০৩ জনের। এরপর স্পেনও ছাড়িয়ে গেছে চীনকে। এরপর ইউরোপের দেশ ফ্রান্সেও প্রাণ গেছে ১ হাজার ৩৩১ জনের। যুক্তরাজ্যে ৪৬৫, নেদারল্যান্ডসে ৪৩৪, জার্মানিতে ২২৪, বেলজিয়ামে ২২০, সুইজারল্যান্ডে ১৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ইউরোপের প্রায় সব দেশেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কমবেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনা ভাইরাস বিশ্বের ১৯৮ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে। এ রোগে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৫৩ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ১৫৫ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এইচএডি/