শুক্রবার (২৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে চীন (৮১,৭৮২) এবং ইতালিকে (৮০,৫৮৯) ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে দেশটিতে এ রোগে মৃতের সংখ্যা চীন (৩,২৯১) এবং ইতালির (৮,২১৫) চেয়ে কম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র কাজে ফিরতে যাচ্ছে। ’ তার এ অনুমানের পরই কোভিড-১৯ মহামারির নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে নতুন এ পরিসংখ্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘এ সংখ্যাই প্রমাণ করছে আমরা কী পরিমাণ পরীক্ষা চালাচ্ছি। ’
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই এখন করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা যায় এবং দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৫২ হাজারেরও বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে।
বেইজিংয়ের দেওয়া তথ্যে সন্দেহ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের আসল সংখ্যাটা আপনারা জানেন না। ’
১২ এপ্রিল দেশ থেকে লকডাউন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্পের, যা নিয়ে জোর সমালোচনা চলছে। সম্প্রতি দেশে বেকার হয়ে পড়া ৩৩ লাখ মানুষকে প্রেরণা যুগিয়েছিল এ পরিকল্পনা।
ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের (মার্কিনদের) কাজে ফিরতে হবে। আগের জায়গায় ফিরতে হবে, এর ওপর ভিত্তি করছে আমাদের দেশ এবং আমি মনে করি শিগগিরই এটি হতে যাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমি যখন বলছি ফিরে যাবো তখন অনেকেই এর ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া, হাত না মেলানো এবং আমরা যা যা বলেছিলাম সেসবকিছুর চর্চাই অব্যাহত থাকবে। ’
আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার স্টেট গভর্নরদের দেওয়া চিঠিতে ট্রাম্প জানান, কেন্দ্রের সামাজিক দূরত্বায়নের নীতিমালা প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। বেশি কিছু অঞ্চলে বিধিনিষেধ শিথিল করার পরামর্শ থাকতে পারে এতে।
এদিকে করোনা ভাইরাস মহামারিতে চাকরি হারানো কর্মী ও ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকে সাহায্য করতে এবং জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য বুধবার (২৫ মার্চ) দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
এফএম