শুক্রবার (২৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
চীনা ও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে প্রতি সপ্তাহে কেবল একটি ফ্লাইটের অনুমতি দিয়েছে চীন এবং কোনো ফ্লাইটে ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী থাকতে পারবে না।
তিনদিন পর শুক্রবার স্থানীয়ভাবে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হলো চীনে। নতুন শনাক্ত ৫৫ রোগীর মধ্যে ৫৪ জনই বিদেশফেরত।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড-১৯, তাই বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ স্থগিত ঘোষণা করছে চীন।
কূটনীতিক বা এয়ারক্র্যাফট ক্রুদের ভিসা ছাড়া অন্য সব ভিসা এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, জরুরি মানবিক প্রয়োজন বা নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কর্মরতদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে।
নতুন এ বিধিনিষেধ নাটকীয় মনে হলেও বেশিরভাগ বিদেশি এয়ারলাইন্স অনেক আগে থেকেই চীনে যাওয়া বাতিল করেছে। দেশটিতে আগতদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে উৎপত্তি হলেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় এখন প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মৃত্যুর দিক থেকেও চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি ও স্পেন।
চীনে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত চীনে ৮১ হাজার ৩৪০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ২৯২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬৫ জন বিদেশফেরত চীনা বা বিদেশি নাগরিক।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমায় জানুয়ারি মাসে উহানে শুরু হওয়া লকডাউন আগামী ৮ এপ্রিল শিথিল করা কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
এফএম