এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’ এ তথ্য জানায়।
ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে ওজোন স্তরের জন্য ক্ষতিকারক পদার্থের ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করার ফল এখন চোখে পড়ছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক অন্তরা ব্যানার্জি জানান, এটি সম্ভবত সাময়িক পরিবর্তন কেননা পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
বাতাসের প্রবাহ বদলে যাওয়ায় দক্ষিণ গোলার্ধে বৃষ্টিপাত ও সামুদ্রের স্রোতের গতিও বদলে যাচ্ছিল। এ কারণে ভয়াবহ খরার কবলে পড়তে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।
কম্পিউটার সিমুলেশন ব্যবহার করে গবেষকরা দেখেন, বাতাসের প্রবাহ আর দক্ষিণে সরে যাচ্ছে না। একইসঙ্গে ক্ষয় কমছে ওজোন স্তরের।
এন্টার্কটিকার ওজোন স্তরে ছিদ্রের বিষয়টি নজরে আসে ১৯৮২ সালে। গত বছর এর আকার সবচেয়ে ছোট ছিল। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা সাময়িক। চীনে ওজোন স্তরের জন্য ক্ষতিকারক পদার্থের ব্যবহার বাড়ছে। এতে পরবর্তীকালে নতুন করে ওজোন স্তর আরও ক্ষয় হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ওজোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে তা ভূপৃষ্ঠে আসতে বাধা দেয় এবং এর ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
এফএম