রোববার (২৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বরিস জনসনও।
এছাড়া, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সরকারি নিয়মের বিস্তারিত ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য বিশিষ্ট লিফলেট বিতরণ করা হবে।
এখন পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনার সুস্পষ্ট তথ্য না দেওয়ায় সমালোচিত হয়েছে বরিস সরকার।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৯ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে শনিবারে (২৮ মার্চ)। এছাড়া, দেশটিতে মোট ১৭ হাজার ৮৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের তিন কোটি বাড়িতে পাঠানো এ চিঠিতে বরিস জনসন লেখেন, ‘শুরু থেকেই সঠিক সময়ে আমরা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপদেশ অনুযায়ী আমাদের যেটা অবশ্যই করতে হবে, সেটা করতে আমরা দ্বিধান্বিত হবো না। ’
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে দুইয়ের বেশি জনসমাগমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কম প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
নিয়ম না মানলে শনিবার সন্ধ্যা থেকে জরিমানা নেওয়ার বিধি চালু হয়েছে। একজন ব্যক্তিকে ৯৬০ পাউন্ড পর্যন্ত এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
ওই চিঠিতে বরিস বলেন, ‘আপনাদের জানানো গুরুত্বপূর্ণ যে, সবকিছু ঠিক হওয়ার আগে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কিন্তু আমরা সঠিক প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং যত নিয়ম আমরা মানবো, তত মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে এবং তত দ্রুত জীবনযাপন স্বাভাবিক হবে। ’
এ মহামারিকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দুই-তিন সপ্তাহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এফএম