সোমবার (৩০ মার্চ) এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান। ’
কিছুদিন আগেও ইস্টার সানডে অর্থাৎ ১২ এপ্রিলের আগে যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান বিধিনিষেধ কমাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প।
রোববার (২৯ মার্চ) হোয়াইট হাউস রোজ গার্ডেনে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়াতে পারে। সেটা যদি এক লাখ বা তার নিচে রাখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে আমরা সবাই মিলে খুব ভালো কাজ করতে পেরেছি। ’
তার দাবি, উপদেষ্টারা তাড়াহুড়ো করে কোনো পদক্ষেপ নিতে না করেছিলেন বলেই তিনি আশাবাদী ছিলেন। আগামী ১ জুনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সামাজিক দূরত্বায়ন আরোপ না করলে প্রায় ২২ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি। এ সংখ্যা এক লাখে সীমাবদ্ধ রাখতে পারলেই খুব ভালো কাজের প্রমাণ দেবে তার সরকার।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সম্ভব হলে বাড়িতে বসেই কাজ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। রেস্তোরাঁ, পানশালায় যাওয়া এবং অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন ভ্রমণ ও কেনাকাটা এড়িয়ে যেতে হবে। জনসমাগম নিষেধ এবং বয়স্ক ও অসুস্থদের বাড়িতে থাকতে হবে।
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এফএম