মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই বলেন, ‘এত সব পদক্ষেপ নেওয়ার পরও মহামারি চলাকালে এ অঞ্চলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবেই।
২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে শুরু হওয়া এ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৭ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেন।
ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে কাসাই বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলি। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ মহামারি শেষ হতে এখনো বহু দেরি। এটি দীর্ঘ সময়ের এক যুদ্ধ হতে যাচ্ছে এবং আমরা কিছুতেই অসতর্ক হতে পারি না। বড় ধরনের গণসংক্রমণ রোধ করতে সব দেশকে প্রস্তুত হতে হবে। ’
প্রশান্ত অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর মতো সীমিত সম্পদ বিশিষ্ট দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, কেননা এসব দেশে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে নমুনা অন্য দেশে পাঠাতে হবে এবং পরিবহনে বিধিনিষেধ বিষয়টি আরও কঠিন করেছে, জানান তিনি।
যেসব দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তারা অসতর্ক হলে আবারও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি জানান কাসাই।
ডব্লিউএইচওর টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ম্যাথিউ গ্রিফিথ বলেন, ‘কোনো দেশ নিরাপদ থাকবে, তা প্রত্যাশা করে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেননা করোনা ভাইরাস সব জায়গায়ই পৌঁছে যাবে। ’
সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ দিয়ে গ্রিফিথ বলেন, ‘এ অঞ্চলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমতে থাকলেও বিদেশফেরত কেউ নতুন করে সেটি বহন করে আনতে পারে। মহামারির কেন্দ্র এখন ইউরোপ হলেও সেটি একসময় অন্য স্থানে শুরু হতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এফএম