বুধবার (২২ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯- এর কারণে নতুন করে ১৩ কোটি মানুষ প্রবল খাদ্য সংকটে পড়তে পারে।
করোনা ভাইরাস মহামারিতে পর্যটন খাতের আয় কমেছে, রেমিটেন্স প্রবাহ প্রায় বন্ধ। এছাড়া ভ্রমণসহ অন্য ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের কারণে নতুন করে প্রবল খাদ্য সংকটে পড়বে ১৩ কোটি মানুষ।
ডব্লিউএফপির প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা, মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ পরিচালক আরিফ হুসাইন বলেন, ‘যারা কোনোরকমে খেয়ে-পরে বেঁচে আছেন, তাদের জন্য সর্বনাশা হয়ে উঠেছে কোভিড-১৯। ’
জেনেভায় এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এ সংকট মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ আমরা তা না করলে আরও চড়া মূল্য দিতে হবে। অনেকে জীবন হারিয়েছেন এবং আরও বহু মানুষ হারিয়েছেন জীবিকা। ’
কোনো রকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা মানুষদের নিজের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করা থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হুসাইন। কেননা তাদের আবারও আত্মনির্ভরশীল হতে অনেক বছর সময় লাগতে পারে।
কৃষকরা তাদের লাঙল বা ষাঁড় বিক্রি করে দিলে সামনের বছরগুলোতে খাদ্য উৎপাদনে তার প্রভাব পড়বে।
খাদ্য সংকটের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে আফ্রিকার অনুন্নত এবং অন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জনগোষ্ঠী।
চলতি বছর খাদ্য সহায়তায় ডব্লিউএফপির বরাদ্দ ১০ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার হওয়া দরকার, যা গত বছর ছিল ৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। আসন্ন খাদ্য সংকট মোকাবিলায় যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
এফএম