পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এখনও কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি এ ব্যাপারে। কিন্তু মদের দোকান খোলার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড় দিয়েছে সব জোনেই।
সেই ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছে পুলিশও। লাঠির তাড়া করতে বাধ্য হয়। তাতেও কাজ না হলে দোকান বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। দেশের অন্যান্য রাজ্যের চিত্রও একই রকম দেখা গেছে বলা জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা। কালীঘাট দমকলের পাশে মদের দোকান। দোকানের শাটার তখনও খোলেনি। তার মধ্যেই দোকানের সামনে ফুটপাতে ৫০০ মানুষের লম্বা লাইন। প্রত্যেকের হাতে বিভিন্ন মাপের পাত্র। কয়েক মিনিট পরেই দোকানের তালা খুলে শাটার অর্ধেক তুললেন দোকানের এক কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষের লাইনটা এগিয়ে গেলো।
একজনের ওপরে আরেকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। সবাই চেষ্টা করছেন দোকানের কাউন্টারের কাছে আগে পৌঁছাতে। আর তা নিয়েই শুরু হয় ঠেলাঠেলি। অথচ সেই ছবি দেখলে কেউ বলবে না, দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পুলিশ আসে। ওই ভিড় সামাল দিতে নাজেহাল হন তারাও। রীতিমতো লাঠি নিয়ে পুলিশ তাড়া শুরু করে। তাতেও ভাটা পড়েনি উৎসাহে।
একদিকে তাড়া করলে অন্যদিকে এসে হাজির হচ্ছেন দোকানের সামনে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশের নির্দেশে দোকান বন্ধ করে দেন মালিক। সোমবার সকাল থেকে একই চিত্র দেখা গেছে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারের কাছে, মহিম হালদার স্ট্রিটের একটি মদের দোকানের সামনেও। সবমিলে গোটা কলকাতার ছবিটাও একই রকম।
ভারত সরকার মদের দোকান খোলার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়ার পর থেকেই এ রাজ্যেও শুরু হয়ে যায় জল্পনা-কল্পনা। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ছাড়া সব জায়গায় খোলা যাবে মদের দোকান। এরপর রাজ্যেও খুলে মদের দোকান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, মে ০৪, ২২০
টিএ