এমনকি নিজের দেশের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএর সতর্কবার্তাও তিনি আমলে নেননি।
নিজের ইচ্ছাতেই খেয়েছেন ভারত থেকে আমদানি করা ক্লোরোকুইন ওষুধ।
এপ্রিল মাসেই এফডিএ জানিয়ে দিয়েছিল, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন অত্যন্ত বিপজ্জনক। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই ওষুধ খেলে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনে গোলমাল হতে পারে।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পরেই ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আমদানি করেছিলেন ট্রাম্প। দেশের হাসপাতালগুলোতেও তা সরবরাহ করা হয়েছিল। করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রথম দিকে তা ব্যবহারও করা হয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, এই ওষুধ ব্যবহার করা বিপজ্জনক। তাছাড়া করোনা রোধে তা কতটুকু কার্যকর তারও কোনো প্রমাণ নেই। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যেদিন এই ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেন, সেখানে ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি কারো কথাই গুরুত্বের সঙ্গে নেননি।
এদিন আবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কড়া সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। ফের সংস্থাটিকে 'চীনের পাপেট' বা পুতুল বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিনি চীনের প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৩০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন। না হলে যুক্তরাষ্ট্র স্থায়ীভাবে এ সংস্থায় অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
নিউজ ডেস্ক