একইসঙ্গে মাদক উৎপাদনের বিপুল রাসায়নিক ও যন্ত্রপাতিও জব্দ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক বিভাগ এ অভিযানকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও সফল অভিযান বলে অভিহিত করেছে।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শান প্রদেশে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় তিন মাস এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানকার কথিত গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল এলাকা থেকে মাদকগুলো জব্দ করা হয়। পাহাড়ঘেরা অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের মাদক উৎপাদন ও ব্যবসা চলছিল।
অভিযানের সময় ৩৩ জন মাদক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, বিপুল পরিমাণ এ মাদক মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাচার করার কথা ছিল।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে যে দৃশ্য বেরিয়ে এসেছে তা সত্যিকার অর্থেই ধারণার অতীত। আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের যোগসাজশ ছাড়া এত বিপুল পরিমাণ মাদক উৎপাদন অসম্ভব।
জব্দ করা মাদকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো ফেন্টানিল। এটা হেরোইনের চেয়ে ৫০ গুণ এবং মরফিনের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
আফগানিস্তানের পর সবচেয়ে বেশি হোরোইন উৎপাদিত হয় মিয়ানমারে। এছাড়া মিয়ানমার থেকেই বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ এ অঞ্চলের প্রায় সব দেশেই মাদক পাচার হয়। আর এসব দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ আমেরিকাতেও চলে যায় চালান। সেদিক থেকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার এ অভিযান পরিচালনা করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
নিউজ ডেস্ক