বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনোমির তথ্য অনুযায়ী, শুধু এপ্রিল মাসেই চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ১২ কোটি ২০ লাখ ভারতীয় নাগরিক। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, ঠেলাগাড়িচালক, রিকশাচালক এবং ফেরিওয়ালা, ফুটপাতের দোকানদারসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
২০১৪ সালে হতদরিদ্রদের দারিদ্র্যমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে তার এ পরিকল্পনা ঝুঁকিতে পড়েছে।
উন্নয়ন খাত উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বজিত সিং বলেন, ‘দারিদ্র্য দূরীকরণে ভারতীয় সরকারের কয়েক বছরের প্রচেষ্টা মাত্র কয়েক মাসের কারণে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। এবছর কর্মসংস্থান পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভাইরাসের চেয়ে ক্ষুধায় আরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ’
সিং জানান, ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইউনিভার্সিটির এক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, স্বল্প মধ্যম আয়ের দেশের জন্য বিশ্ব ব্যাংক নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারেন প্রায় ১০ কোটি ৪০ লাখ ভারতীয় নাগরিক। তাদের দৈনিক আয় হবে তিন দশমিক দুই ডলারেরও কম।
বর্তমানে ভারতের ৮১ কোটি ২০ লাখ অর্থাৎ ৬০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যে বসবাস করছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে এ সংখ্যা বেড়ে হবে ৯২ কোটি অর্থাৎ ৬৮ শতাংশ। এতে দারিদ্র্যের হার গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বাধিক হবে।
গবেষকরা জানান, লকডাউনে ভারতের ৮০ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে এবং কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়া তাদের অনেকের পক্ষেই আর বেশি দিন জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব নয়।
এদিকে জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ায় করোনা ভাইরাস মহামারির কেন্দ্র ভারত। দেশটিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৫ এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ হাজার ৫৩৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
এফএম