বুধবার (১৭ জুন) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আরব টাইমস জানিয়েছে, পাপুলকে আটকের পর থেকে বিষয়টি নিয়ে বেশ নড়েচড়ে বসেছে কুয়েত সরকার। পাপুলসহ তার সঙ্গে আর কারা সম্পৃক্ত, তা তদন্তে নেমেছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া কুয়েত সরকার তাদের এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। তিনি দেশের সমাজকল্যাণ ও অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মরিয়ম আল আকিল সরকারের জনশক্তি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা।
সূত্রের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তাকে ৯০ দিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে তদন্ত শেষে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাকে বেতনের ৫০ শতাংশ কম দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আরব টাইমস।
মানবপাচারের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের স্বার্থে পাবলিক প্রসিকিউশন ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করে। জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কুয়েত সরকার বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমটি।
এছাড়া কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন দেশের আরও তিনজনকে শোকজ করেছে তদন্তের স্বার্থে, যারা এই কাণ্ডে জড়িত বলে তথ্য দিয়েছেন এমপি পাপুল।
এর আগে টানা আটদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (১৬ জুন) সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন কুয়েতের প্রসিকিউশন বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
টিএ