ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জমজমের নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
জমজমের নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা

তুরস্কে ট্যাপের পানি বোতলে ভরে একে পবিত্র মক্কার পবিত্র জমজম কূপের পানি বলে বিক্রি করছিলেন এক ব্যক্তি। আর এভাবেই তিনি ৯ কোটি তুর্কি লিরা (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ কোটি টাকা) আয় করেছেন।

প্রতারকের নাম বিলাল। তবে তার এই প্রতারণা অবশেষে ধরা পড়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার (১২ জানুয়ারি) বিলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার ব্যবসাকেন্দ্র থেকে ১৫ হাজার লিটার ট্যাপের পানিও উদ্ধার করা হয়েছে। এই পানি তিনি ‘জমজমের পানি’ হিসেবে বিক্রির জন্য মজুত করেছিলেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে গাল্ফ নিউজ

রোববার প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, প্রতিদিন ২০ হাজার লিটার ট্যাপের পানিকে বোতলে ভরে ‘জমজমের পানি’ নামে বিক্রি করতেন তিনি, যা থেকে প্রতিদিন ৬ লাখ লিরা (২২,০০০ ডলার) আয় করত।

২০ টন করে ‘জমজমের পানি’ বিক্রি করতেন এবং দৈনিক তার আয় হতো ৬০ হাজার লিরা, বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৪ টাকা। গত ৫ মাস ধরে প্রতিদিনই এই আয় হতো তার।

পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবাবে বিলাল জানিয়েছেন, দক্ষিণ তুরস্কের আদানায় অবস্থিত তার গুদামে ট্যাপ থেকে পানি জার ও বোতলে ভরা হতো এবং জমজম কূপের পানির লেবেল লাগানো হতো। দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো নকল। ইস্তাম্বুল, আঙ্কারাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হতো তার এই পানি।  

তার তথ্য মতে, পুলিশ গুদামে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাঁচার লিটার সাধারণ ট্যাপের পানি উদ্ধার করে। এবং নকল লেবেল উদ্ধার করে। লেবেলগুলোতে আরবি ভাষায় লেখা ছিল, পণ্যটি সৌদি আরব থেকে আসা জমজমের পানি। পরে পুলিশ সেই গুদামকে সিলগালা করে দেয়।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে জমজমের পানি অতি পবিত্র। হাজিরা হজ শেষে জমজমের পানি সঙ্গে নিয়ে আসতে ভোলেন না। অন্যান্য ইসলামপ্রধান দেশের মতো তুরস্কেও জমজমের পানির চাহিদা বেশি। বিশেষ করে রমজানে ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেখানে দেশের বিভিন্ন বাজার এবং দোকানে জমজমের পানির বোতল ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।