‘রাম নেপালি এবং অযোধ্যা নেপালের অংশ ছিল’ দাবি করেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। এ মন্তব্যের জেরে নিজ দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি৫.কম বলছে, ক্ষমতাসীন দলটির বেশ কয়েকজন নেতা প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা জানান। পাশাপাশি আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমা প্রার্থনারও।
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির উপনেতা বামদেম গৌতম ফেসবুকে জানান, তিনি এবং কেপি শর্মা অলি দুই বছর আগে অবতার রাম এবং অযোধ্যা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তখন তিনি অলিকে সতর্ক করেছিলেন, স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া না গেলে এই বিষয়ে যেন কোনো বিবৃতি দেওয়া না হয়।
তিনি লেখেন, প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম অনুসরণ করে। ফলে কারও ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিশানা করে তাদের আবেগের ওপর আক্রমণের চেষ্টা করা উচিত নয়। একইভাবে কোনো দেশ বা জনগোষ্ঠী বা ব্যক্তি তাদের কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ধর্মীয় গ্রন্থকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করাও উচিত নয়। আমরা কমিউনিস্টরা সেক্যুলার থাকতে চাই। অবতার রামের জন্মস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাই, আপনি দ্রুত ক্ষমা চেয়ে এ বিতর্কের অবসান ঘটান। একইসঙ্গে ইতিহাসবিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করুন, যারা এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করবে।
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র নারায়ণকাজি শ্রীনাথ টুইটারে লেখেন, আসুন আমরা, নেপালের রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের অপমান ও অবমূল্যায়ন করা বন্ধ করি। সাময়িক সুবিধার জন্য সত্যকে উপেক্ষা করে কোনো কিছু বলা এবং প্রচার করা থেকে বিরত থাকি। এগুলো সমাজ এবং জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে কী শেখাচ্ছি? আসুন আমরা দেশপ্রেমিক এবং বিচক্ষণ হই।
এর আগে সোমবার (১৩ জুলাই) নেপালের প্রধানমন্ত্রীর নিবাসে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে কেপি শর্মা অলি লর্ড রাম নেপালি এবং অযোধ্যা নেপালে অবস্থিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
এইচএডি/