সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে স্বায়ত্তশাসন আইন পাস হয়। এরই মধ্যে ওই আইনে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চীনের প্রতি অন্যান্য দেশের সম্প্রতি কঠোর হওয়ার সবচেয়ে সুস্পষ্ট কারণ অবশ্যই বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা আইন পাস। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হওয়া চুক্তি মোতাবেক ২০৪৭ সাল পর্যন্ত হংকং স্বায়ত্তশাসিত থাকার কথা। তবে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনে শহরটির সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক অধিকার খর্ব হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে হংকংকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা বিলুপ্ত করা হয়েছে।
ট্রাম্প ওই আদেশ সম্পর্কে বলেছেন, হংকংকে এখন থেকে মূল চীনা ভূখণ্ডের মতোই দেখা হবে। এ আইনে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন সরিয়ে নেওয়ার কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজন, প্রতিষ্ঠান বিশেষত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে লেনদেন অব্যাহত থাকলে চীনের ব্যাংকগুলোর ডলার অ্যাকসেস বন্ধ করে দিতে পারে আমেরিকা। এ আইনে চীনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করলেও ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্সিয়াল ব্যাংক অব চায়না এবং চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংকের ডলার অ্যাকসেস সীমিত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর এটা করা হলে ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে এসব প্রতিষ্ঠান। ব্লুমবার্গের তথ্যানুসারে, শুধু ২০১৯ সালেই চীনের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডলার লেনদেন ছিল ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন। এ ব্যাংকগুলো মূলত চীনা ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়কি লেনদেন করে থাকে। সেইসঙ্গে চীনের বেল্ট ও রোড অবকাঠামোগত উন্নয়নেও আর্থিক সহায়তায় সম্পৃক্ত এ প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২০
ওএইচ/