মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) যুক্তরাজ্য দেশীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
যুক্তরাজ্যের ডিজিটালমন্ত্রী অলিভার ডাউডেন হাউস অব কমন্সে এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে হুয়াওয়ের ৫জি পণ্য যুক্তরাজ্যের কোনো প্রতিষ্ঠান ক্রয় করতে পারবে না। একইসঙ্গে ২০২৭ সালের মধ্যে চীনের এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা ৫জির সব পণ্য সরিয়ে ফেলা হবে।
ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরামর্শের পর এ সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাজ্য।
অলিভার ডাউডেন বলেন, ‘আমাদের শুরু থেকেই পরিষ্কার ধারণা ছিল, হুয়াওয়ে ও জেডটিইর প্রযুক্তিপণ্য উচ্চুঝঁকির। ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) মন্ত্রীদের সম্প্রতি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ৫জি নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ের উপস্থিতি সম্পর্কে তাদের মূল্যায়নের আমূল পরিবর্তন করেছে। যুক্তরাজ্য হুয়াওয়ের ৫জি পণ্যের ওপর আর আস্থা রাখতে পারে না। সরকার যুক্তরাজ্যের ৫জি নেটওয়ার্ককে নিরাপদ করতে এনসিএসসির পরামর্শ অনুযায়ী হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার বন্ধ করাটাই সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে মেনে নিয়েছে। ’
আর এ কারণে যুক্তরাজ্যের ৫জি সুবিধার পুরোটা নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একবছর বেশি সময় লাগতে পরে। আগে থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার কারণে যুক্তরাজ্যের এই খাতে ক্রমবর্ধমান খরচ বাড়তে পারে ২ বিলিয়ন ইউরো।
এ প্রসঙ্গে ডাউডেন বলেন, এটা অবশ্যই কোনো সহজ সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যের টেলিকম নেটওয়ার্ক খাত, জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য এটা অবশই দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য বাজে খবর বলে উল্লেখ করেছে হুয়াওয়ে।
সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে হুয়াওয়ে ও জেডটিইর প্রযুক্তি পণ্যকে হুমকি উল্লেখ করে ওয়াশিংটন। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় এ প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এরপর তারা হুয়াওয়ের প্রযুক্তিপণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই পথে হাঁটলো যুক্তরাজ্যও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২০
এইচএডি/