যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
খবরে বলা হয়, মনে হচ্ছে, যারা সীমান্তে দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে চীন তাদের স্বীকার পর্যন্ত করতে চাইছে না।
সংঘর্ষের একমাস পার হয়ে গেছে। এরপরও চীন এখনো ওই সংঘর্ষে তাদের কতজন সেনা নিহত হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।
অপরদিকে ১৫ জুনের সংঘর্ষে ২০ জন সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকারের পাশাপাশি কোনো দ্বিধা ছাড়াই তাদের হিরো হিসেবে অভিহিত করেছে ভারত।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নিহত সেনাদের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে চীন সরকার। তারা সংঘর্ষে হতাহতের বিষয় স্বীকার তো করেইনি উল্টো এখন নিহত সেনাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান যেন না করা হয় সে বিষয়ে চাপ দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার মতে, সংঘর্ষে চীনের অন্তত ৩৫ সেনা নিহত হয়ে থাকতে পারে।
মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র জানায়, চীনের সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় নিহত সেনাদের পরিবারগুলোকে বলেছে, রীতি মেনে গালওয়ানে মৃত সেনাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা যাবে না। করা যাবে না শেষকৃত্যের কোনো অনুষ্ঠান বা শোকজ্ঞাপনের জন্য কোনো আয়োজনও।
শেষকৃত্য অনুষ্ঠান না করতে বলার কারণ হিসেবে করোনা ভাইরাসকে সামনে নিয়ে এসেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়ন্দা সূত্রটির ধারণা, সংঘর্ষে হতাহতদের তথ্য জনগণের কাছ থেকে লুকাতে বেইজিং এ পন্থা অবলম্বন করেছে।
নিহত সেনাদের পরিবারগুলো চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এমন সিদ্ধান্তে হতাশ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্ট নিউজ।
১৫ জুন লাদাখে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়। ভারতের দাবি, সংঘর্ষে চীনেরও ৪৩ জন সেনা নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছে।
সম্প্রতি বিতর্কিত লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই সূত্র ধরে দুই দেশই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধানে দুই পক্ষই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে ঘটেছিল এ সংঘর্ষের ঘটনা।
১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম চীন ও ভারতের মধ্যে প্রাণহানি হওয়ার মতো এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। ১৯৬২ সালে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২০
এইচএডি/