স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান ট্রাম্প।
করোনা প্রতিরোধে জনগণকে মাস্ক পরার নির্দেশ দেবেন কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, না, আমি চাই মানুষের নির্দিষ্ট কিছু স্বাধীনতা থাকুক।
নিজের অবস্থানের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরে ট্রাম্প বলেন, সবাই বলছিল, মাস্ক পরার দরকার নেই। এখন আবার হুট করে বলা হচ্ছে, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরারও নানা সমস্যা রয়েছে। তারপরও আমি মনে করি মাস্ক ভালো। মাস্কের ব্যাপারে আমার বিশ্বাস আছে।
সম্প্রতি, মার্কিন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ফাউসি ক্রমবর্ধমান করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় নেতাদের অনুরোধ জানান, তারা যেন যতোটা সম্ভব কড়াকড়ির মাধ্যমে মানুষজনকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার নির্দেশ দেন।
ফাউসি বলেন, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এগুলো ব্যবহার করা।
কিন্তু শুরু থেকেই মাস্ক পরার বিপক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও গত শনিবার প্রথমবারের মতো তাকে জনসমক্ষে মাস্ক পরতে দেখা যায়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট না চাইলেও, বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের গভর্নরই বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছেন। এ গভর্নরদের মধ্যে ট্রাম্পের দল রিপালিকানেরও অনেকেই রয়েছেন। অনেকে শুরতে মাস্ক পরার নির্দেশের বিপক্ষে থাকলেও বর্তমানে অবস্থান বদল করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় মার্কিন গবেষণা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্স জানায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আরো ৭৭ হাজার ৬৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একটানা ৩ দিন শনাক্তের সংখ্যায় আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হতে দেখা যাচ্ছে।
জনস হপকিন্সের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সরকারি হিসেবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় নতুন করে আরো ৯২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে এ ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ১২৮ জনে।
পরিসংখ্যান বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৩৭ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সেরে উঠেছেন ১৭ লাখ ৪২ হাজারের মতো। বাকিদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আছেন সাড়ে ১৬ হাজারের মতো মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২০
এইচজে