তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে বারবার সতর্ক করে আসছিল। পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় বেইজিং নিয়েছে নানা পদক্ষেপ।
বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ান এ সিদ্ধান্ত নেয়। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।
খবরে বলা হয়, তাইওয়ান দ্বীপের নামকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য পাসপোর্টের নকশা বদলে ফেলা হবে।
দ্বীপটির অভিযোগ, করোনা মহামারি ছড়িয়ে যাওয়ার পর তাইওয়ানের বাসিন্দারা বিভিন্ন দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন। এর কারণ হচ্ছে, তাদের পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টের কাভারের উপরের দিকে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, ‘রিপাবলিক অব চায়না’ এবং নিচে ছোট করে লেখা তাইওয়ান। কাভারে চীনা হরফেও এগুলো লেখা রয়েছে।
চীনের নাম থাকার কারণে বাসিন্দাদের বিভিন্ন দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই নকশা বদলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন পাসপোর্ট আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে চালু করতে চায় দ্বীপটি।
নতুন পাসপোর্টে ইংরেজিতে লেখা ‘রিপাবলিক অব চায়না’ থাকবে না। তবে ‘রিপাবলিক অব চায়না’ চীনা হরফে লেখা থাকবে। আর ‘তাইওয়ান’ শব্দটি লেখা হবে বড় করে।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বলেন, যখন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লো তখন থেকে আমাদের নাগরিকরা তাইওয়ানকে আরও দৃশ্যমান করে তোলার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন যেন তাদের চীনা ভাবা না হয়। এ ভোগান্তি তারা এড়াতে চাইছেন। ফলে নতুন পাসপোর্ট অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য।
চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবেই দেখে। যদিও তাইওয়ানের অধিকাংশ বাসিন্দা চীনের কর্তৃত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২০
এইচএডি/