চীন থেকে সাবমেরিন কেনা পিছিয়ে দিয়েছে থাইল্যান্ড। করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে এই বিতর্কিত চুক্তির সমালোচনা করছিল জনসাধারণ, তাই ৭২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে দুইটি সাবমেরিন কেনা পিছিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার।
চীনের নৌ হার্ডওয়্যার কেনায় ২০১৫ সালে একটি চুক্তি হয়েছিল। সেখানে প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম থাইল্যান্ড। এরপর ২০১৭ সালে চীনের কাছ থেকে তিনটি সাবমেরিন কেনার বিষয় চূড়ান্ত করে থাইল্যান্ড সরকার। এরমধ্যে প্রথমটির সরবরাহ আশা করা হচ্ছে ২০২৩ সালে।
এসবের পরও চীনের কাছ থেকে ২২ দশমিক ৫ বিলিয়ন বাত (৭২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দিয়ে আরও দুইটি সাবমেরিন কিনতে চায় থাইল্যান্ড। এ জন্য আগস্টের শুরুর দিকে সংসদীয় উপ-কমিটি অনুমোদনও দিয়েছিল।
কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির জনগণ। করোনা ভাইরাসে দেশের অর্থনীতি যেখানে থমকে আছে, সেখানে এ সিদ্ধান্ত ‘অর্থহীন’ বলে ক্ষুব্ধ হয়েছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা-প্রতিবাদ তুঙ্গে। এমনকি ‘মানুষ সাবমেরিন চায় না’ টুইটারে হ্যাশট্যাগও করেছে তারা।
এরপর গত সোমবার (৩১ আগস্ট) থাইল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র আনুচা বুড়াপচাইশ্রি ঘোষণা দেন অতিরিক্ত দুটি সাবমেরিন কেনার ব্যাপারে বিলম্ব করার নীতি আসছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রযুত চান-ও-চ জানিয়েছেন, অতিরিক্ত দুটি সাবমেরিন কেনার ক্ষেত্রে ‘নৌবাহিনীকে বিলম্বের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনুচা সাংবাদিকদের এও বলেন, নৌবাহিনী এ সিদ্ধান্ত আরও এক বছরের জন্য পিছিয়ে দিতে চীনের সঙ্গে আলোচনা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২০
টিএ