ভারত ও নেপালের মধ্যে এক হাজার সাতশ’ কিলোমিটারেরও বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে ‘রুটি-বেটি’ সম্পর্ক বিদ্যমান, যা দু’টি দেশের মানুষকে সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক ভাবে সংযুক্ত করেছে।
ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরখণ্ডের মানুষ নেপালের মেয়েদের বিয়ে করতে পারে এবং নেপালেও এসব রাজ্যের মেয়েদের বিয়ে হয়।
মকর সংক্রান্তিতে নেপালের রাজা গুরু গোরাখনাথকে খিচুড়ি পাঠাতেন। এর মাধ্যমেও ইন্দো-নেপাল সম্পর্কের গভীরতা বোঝা যায়। এখন সেই ঐতিহ্য চালু রয়েছে।
বেশ কয়েকটি সংস্থা ঐতিহাসিক এ সম্পর্ক অক্ষত রাখতে নিয়মিত কাজ করছে। নেপাল ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন এ লক্ষে কাজ অন্যতম বড় একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৫ সালে এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. রাধাকৃষ্ণান নেপাল সফরে যান। তবে ১৯৮১ সালে সংস্থাটি আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করে। সংস্থাটির সদরদপ্তর কাঠমাণ্ডুতে।
গত ৪০ বছর ধরে সংস্থাটি নেপাল ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করতে কাজ করে আসছে।
এছাড়াও, আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক সংস্থা ভারত ও নেপালের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করছে। এমনই একটি সংস্থা ইন্ডিয়া নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি, যা ভারতে বসবাসরত নেপালি নাগরিকদের সহযোগিতা করতে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ভারতের স্থানীয় রাজনীতিক সন্তোষ পান্ডে বলেন, ‘ভারত-নেপালের সম্পর্ক বেটি-রুটির। দেশ দু’টির সংস্কৃতিতে এতো মিল যে, কোনো সীমান্তরেখা না থাকলে, নেপাল ও ভারতের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে যেতো। নেপালের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সব সময়ই সহযোগিতা করে আসছে ভারত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০
এফএম