গ্রিস ও তুরস্কে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ২২ জন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জনই তুরস্কের।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) এজিয়ান সাগরের উপকূলে তুরস্কের ইজমির প্রদেশ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। গ্রিসে আঘাত হানে স্যামোস অঞ্চলে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের সবাই উপকূলীয় অঞ্চলের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৮৬ জন।
অন্যদিকে গ্রিসের স্যামোস দ্বীপে অল্পবয়সী দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী, একজন পুরুষ। খবর রয়টার্সের।
বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। চাপা পড়েছে বহু গাড়ি। প্লাবিত হয়েছে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্ক জানিয়েছে, ১৭টি বিধ্বস্ত ভবনে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৯৬টি ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে ২৩টির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ এর উপরে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, পানির তোড়ে রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেসে যাচ্ছে। এমনকি গাড়িও ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে গ্রিসের স্যামোস দ্বীপে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষের বাস। তাদের সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইজমিরের মেয়রের বরাত দিয়ে সিএনএনের খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পে অন্তত ২০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলোজিক্যাল সার্ভে (ইউজিএস) বলছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের ইজমির প্রদেশ। এটি গ্রিসের এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও অনুভূত হয়।
এদিকে ভূমিকম্পের পরপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, গ্রিসের যদি কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে তুরস্ক প্রস্তুত।
তুরস্ক একটি অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ১৯৯৯ সালের আগস্টে সেখানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ইজমিত শহরে ১৭ হাজার মানুষ মারা যায়। ২০১১ সালের ভূমিকম্পে ভ্যান শহরে মারা যায় কমপক্ষে ৫০০ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এএ/