তুরস্ক ও গ্রিসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৬ এ পৌঁছেছে। এরমধ্যে তুরস্কেরই ২০ জনের মতো।
এএফপি বলছে, ভূমিকম্পের কারণে উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঢেউ। বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সামোস দ্বীপতীরবর্তী অ্যাজিয়ান সাগরে ছোট আকারে সুনামি সৃষ্টি হয়েছে। সাগরে জলোচ্ছ্বাসের কারণে তুরস্কের পশ্চিম উপকূলের একটি শহরে রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে।
ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। চাপা পড়েছে বহু গাড়ি। প্লাবিত হয়েছে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্ক জানিয়েছে, ১৭টি বিধ্বস্ত ভবনে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৯৬টি ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে ২৩টির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ এর উপরে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭। তবে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি) বলছে, গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট) আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৬।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, পানির তোড়ে রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেসে যাচ্ছে। এমনকি গাড়িও ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে গ্রিসের স্যামোস দ্বীপে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষের বাস। তাদের সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের ইজমির প্রদেশ। এটি এথেন্স এবং ইস্তাম্বুলেও অনুভূত হয়।
তুরস্ক অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। ১৯৯৯ সালের আগস্টে সেখানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ইজমিত শহরে ১৭ হাজার মানুষ মারা যান। ২০১১ সালের ভূমিকম্পে ভ্যান শহরে মারা যান কমপক্ষে ৫০০ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
টিএ