করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ বিরতির পর কাশ্মীর উপত্যকায় ধীরে ধীরে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ শুরু হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন উপত্যকায় খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়ার পর স্থানীয় একাধিক শিল্পী ও গোষ্ঠী কাশ্মীরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করছে।
গত বুধবার দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গুলশান কালচার ফোরাম। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক সাংস্কৃতিক তাদের কর্মসূচিতে অংশ নেন। টাঙ্গমার্গ বড়মুল্লার কুঞ্জার টাউন হলে আয়োজিত সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে স্থানীয় লোকশিল্পীরা লোকগান পরিবেশন করেন।
আয়োজক গুলশান বাদরানী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। লকডাউনের কারণে গত কয়েক মাসে সংস্কৃতি অঙ্গনে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল। মানুষজন অবসর সময় ঘরের বাইরে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে কাটাতে চায়। আমরা দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মসূচির আয়োজন করেছি। কাশ্মীরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মনজুরুল হক নামে একজন লোকশিল্পী বলেন, এতদিন পরে উপত্যকার লোকদের জন্য অভিনয় করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। উপত্যকায় এ ধরনের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য গুলশান কালচার ফোরাম এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
উপস্থিত দর্শকদের অনেকেই মনে করেন এই জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম কাশ্মীরের সমৃদ্ধ অতীত, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসরুর মুজাফর বলেন, এই জাতীয় ইভেন্ট আমাদের অতীত-ঐতিহ্যের দৃঢ় অনুস্মারক। এটি তরুণ প্রজন্মকে তাদের ঐতিহ্যগত শিকড়ের সংস্পর্শে রাখতে সহায়তা করে।
আরেক স্থানীয় রিয়াজ রাব্বানী বলেন, অনন্য ও বিনোদনমূলক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সমৃদ্ধ কাশ্মীরি সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য গুলশান কালচার ফোরামকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।
সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
এমজেএফ