ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

স্বেচ্ছায় কেন কারাগারে যেতে চান ৮৩২ জন? 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
স্বেচ্ছায় কেন কারাগারে যেতে চান ৮৩২ জন? 

আপনি কি স্বেচ্ছায় কারাগারে বন্দি থাকবেন? হয়তো উত্তর হবে ‘না’। কারণ কারাগার অপরাধীদের জন্য।

তাই সেখানে কেউ স্বেচ্ছায় থাকেন না।  

তবে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে ঘটেছে এর উল্টোটা। সেখানকার একটি কারাগারে অন্তত ৮৩২ জন স্বেচ্ছায় বন্দি থাকার বিষয়ে আবেদন করেছেন।    

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগার সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ২৭ মার্চ এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হতে পারে। তবে এখনো বিষযটি চূড়ান্ত হয়নি।  

জুরিখ সংশোধন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জানায়, কারাগারে বন্দি থাকার জন্য এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৮৩২ জন স্বেচ্ছাসেবক। তবে কতজনকে সেখানে থাকতে দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি।  

জুরিখের মূল ট্রেন স্টেশনের পশ্চিমে অবস্থিত কারাগারটি। ওই কারাগারে থাকতে স্বেচ্ছাসেবকদের কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম- অবশ্যই স্থানীয় বাসিন্দা ও তাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। জুরিখের প্রাক-বিচার আটক কেন্দ্র ও বন্দি সেবায় তারা প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে একটি টিভি রিয়েলিটি শো-এর অংশ হয়ে যাবেন।  

ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে সাময়িক গ্রেফতার ১২৪ জন এবং প্রাক-বিচারে আটক ১১৭ জনের থাকার ব্যবস্থা থাকবে।

 
কারাগারে স্বেচ্ছায় থাকার জন্য তারা কোনো অর্থ পাবেন না, তাদের থেকেও কোনো অর্থ নেওয়া হবে না। কারাগারে থাকার সময় তারা সেখানকার খাবার পরীক্ষা করতে এবং বন্দিদের জন্য নির্ধারিত আঙ্গিনায় ঘুরতে পারবেন। তবে স্বেচ্ছাসেবকরা কারাগারে মোবাইল ফোন বা অন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যেতে পারবেন না।  

জুরিখ অঞ্চলের সংশোধন ও পুনর্বাসন পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র এলেনা ট্যানকোভস্কি বলেন, আমাদের এখানে অনেক ওয়ার্ডেন রয়েছে। তাদের সামাজিক দক্ষতা রয়েছে। তারা জানেন কীভাবে মানুষের সঙ্গে সঠিক আচরণ করতে হয়। তারা বন্দিদের সঙ্গে একজন প্রহরীর চেয়ে তাদের বিষয়ে যত্নশীল থাকতে চান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।