ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

দোনেৎস্ক–লুহানস্কের ‘স্বাধীনতা’ এনে দিলেন যারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
দোনেৎস্ক–লুহানস্কের ‘স্বাধীনতা’ এনে দিলেন যারা দেনিস পুশিলিন (বাঁয়ে) ও লিওনিড পাসেচনিক

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এখন স্বীকৃত স্বাধীন দেশ। অঞ্চল দুটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথমবার মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া।

সেখানে নতুন করে সৈন্য পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  

রয়টার্স ও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল পরিমাণ রুশ সৈন্য মোতায়েনের পর নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে এই অঞ্চল দুটি। যদিও ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল রাশিয়া দখলে নেওয়ার পর থেকেই দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের নিয়ন্ত্রণ হারায় ইউক্রেন।  

দোনেৎস্কের নেতা দেনিস পুশিলিন। আর লুহানস্কের নেতৃত্বে লিওনিড পাসেচনিক। এই দুই নেতাই সেখানকার আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।  

দেনিস পুশিলিন
২০১৮ সালে এক নির্বাচনে দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের নেতা হন দেনিস পুশিলিন। যদিও এই নির্বাচন মেনে নেয়নি ইউক্রেন।  

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের খনিসমৃদ্ধ শহর মাকিভকায় ১৯৮১ সালের ৯ মে জন্ম নেন এই নেতা। তিনি নিজের শহরে রাশিয়ান পাবলিক স্কুল থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন। পড়াশোনা শেষে ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডে চাকরিও করেন।  

২০১৪ সালের ১৯ মে দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের সুপ্রিম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন রুশপন্থি এই রাজনীতিক। আর ২০১৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের নেতা নির্বাচিত হন তিনি। রাশিয়ার ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সদস্যও তিনি।

লিওনিড পাসেচনিক 
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ১৯৭০ সালের ১৫ মার্চ জন্ম নেওয়া লিওনিড পাসেচনিক এখন লুহানস্কের নেতৃত্বে। তিনি মিলিটারি–পলিটিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে কাজ করেন।  

২০১৪ সালে রুশপন্থী বিদ্রোহী দলে যোগ দেন লিওনিড পাসেচনিক। অঞ্চলটির বিদ্রোহীদের সরকারে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান ছিলেন তিনি। ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সদস্য হন।

২০১৪ সালে ইউক্রেনে রুশপন্থি সরকার পতনের পর দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন ওই দুই নেতা। অঞ্চল দুটিতে এখন প্রায় ৩৫ লাখ বাসিন্দা। ইউক্রেন অঞ্চল দুটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর সেখানকার ৭ লাখ ২০ হাজার জন রাশিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলে জানিয়েছে রুশ গণমাধ্যমগুলো।

এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চল দুটিতে চলমান সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছেন। অঞ্চল দুটির স্বাধীনতা ঘোষণাকারীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে এখনো চিহ্নিত করে ইউক্রেন। রাশিয়ার তাদের বিপুল অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে আসছে বলে দাবি করছে কিয়েভ। তবে সেই দাবি অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন।   

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।