হাল্কা ও মাঝারি মাপের ট্যাংকের গতি রুখে দিতে হেজহগের দেয়াল একসময় যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিল। ইউক্রেনে রুশট্যাংকের হামলা ঠেকাতে সেই হেজহগই অন্যতম প্রতিরোধক হয়ে উঠেছে।
রাশিয়াকে প্রতিরোধ করতে ইউক্রেন হেজহগের ব্যবহার করলেও এর উদ্ভাবন হয় সাবেক চেকোস্লোভাকিয়ায়। এগুলিকে ‘অ্যান্টি-ট্যাংক অবস্ট্যাকল ডিফেন্স’ বলা হয়। কোনো গাড়ি বা ট্যাংক এই লৌহনির্মিত দেওয়ালের উপর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আটকে যাবে, ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে।
রাশিয়া যেদিন ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালাল, পশ্চিম ইউক্রেনের লুভিউভ শহরে এক দল লোক ইউটিউব দেখে এই হেজহগ বানানো শুরু করেন। আশপাশ থেকে লোহা-লক্কর সংগ্রহ করে একের পর এক হেজহগ বানানো শুরু করেন। তারা নেটমাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেন যে, হামলাকারী রুশট্যাংককে আটকাতে এই অস্ত্র অত্যন্ত উপযোগী। সকলকে পরামর্শ দেন যত দ্রুত সম্ভব এই হেজহগ বানিয়ে রুশ সেনাট্যাংকের গতিরোধ করতে।
এক একটি হেজহগের ওজন ১০০ কেজি। অবশ্য হেজহগে আটকে নেই রুশ বাহিনী। এটি বানানোর পরদিনই লুভিউব শহরে হামলা চালায় রুশ সেনারা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
কেআই/এমএইচএম