সামরিক আগ্রাসনের ১৭তম দিনে এসে ইউক্রেনের প্রধান প্রধান শহরগুলো ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী। যুদ্ধ অব্যাহত থাকলেও তারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে আগ্রসর হচ্ছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অনেক শহর এখন রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে কিয়েভ, খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি ও মারিওপোলে যুদ্ধ চলছে। শহরগুলো ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের রাজধানীর কেন্দ্র থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রাশিয়ার স্থল বাহিনীর একটি বড় অংশ অবস্থান নিয়েছে। তারা কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে তুমুল লড়াই চলছে।
কিয়েভের ভাসিলকিভ শহরের কাছে একটি বিমানঘাঁটি রাশিয়ার রকেট হামলায়
ধ্বংস হয়ে গেছে। রকেট হামলাটি একটি গোলাবারুদ ডিপোতেও আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছেন ভাসিলকিভের মেয়র নাতালিয়া বালাসিনোভিচ।
ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার বোমাবর্ষণ আরও বেড়েছ। পূর্ব-কেন্দ্রীয় শহর দিনিপ্রো, পশ্চিম লুৎস্ক এবং ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্কে হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার গোলাবর্ষণের কারণে মারিওপোলে আবার ‘মানবিক করিডর’ চালু করা বিঘ্নিত হয়েছে। শহরটিতে এখন বিদ্যুৎ ও মোবাইলের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেখানকার মানুষরা খাদ্য ও পানির সংকটে রয়েছেন। এর মধ্যে সেখানে একাধিকবার ‘মানবিক করিডর’ চালু করার চেষ্টা করেও ইউক্রেন প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে।
ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে এখনো ভারী অস্ত্রের হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। অঞ্চলটির গভর্নর ভায়াচেস্লাভ চাউস এ কথা জানান।
ভিডিও বার্তায় চাউস বলেন, বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সেনারা। সেখানে কোনো সামরিক লোকজন নেই, কখনো ছিলও না। সেখানে শান্তিকামী জনগণ মারা যাচ্ছে এবং অনেকে আহত হয়েছে।
একটি স্থানীয় টেলিভিশন স্টেশনের ফুটেজে শহরের বেশ কয়েকটি ভবন এবং একটি স্টেডিয়ামের বড় আকারের ধ্বংস দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর যুদ্ধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। এই যুদ্ধে দেশটি ছেড়ে অন্তত ২৫ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
জেএইচটি