চীনে করোনা শুরু হয় ২০২০ সালে। দেশটিতে করোনা শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
শনিবার (১২ মার্চ) দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৫২৪ জন। এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়েস ভেলে।
ইতোমধ্যে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে দেশটিতে। সংক্রমণ ঠেকাতে সাংহাই ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নগরীর কর্তৃপক্ষ লকডাউন ঘোষণা ও গণশনাক্ত পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও অনেক লোক উপস্থিত হতে পারে এমন অনুষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুখোমুখি পাঠদান বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণের ঠেকাতে চীন অবশ্য এখন আর বিস্তৃত এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করে না। শুধু যে এলাকা বা ভবনে সংক্রমণ শনাক্ত হয় সেই এলাকা বা ভবনটিতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, চীনে শুক্রবার শনাক্ত করোনা রোগীদের মধ্যে ৪৭৬ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত। এদের মধ্যে ৫ জনকে প্রথমদিকে উপসর্গহীনদের তালিকায় রাখা হলেও পরে তাদের দেহে উপসর্গ দেখা দেয়। এদিন শনাক্তদের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে সংক্রমিত ১০৪৮ জনের উপসর্গ নেই। আগের দিনও এই সংখ্যা ছিল ৭০৩। চীনে উপসর্গ না থাকলে সংক্রমণের শিকার ব্যক্তিদের রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত প্রদেশগুলোর একটি জিলিন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শহরের মেয়র ও চ্যাংচুন জেলার প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন। সেখানকার অপরিহার্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম ছাড়া সবকিছু স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহরটির ৯০ লাখ বাসিন্দাকে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
জেডএ