রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনজুড়ে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এর মধ্যেই রুশ সীমান্তবর্তী দেশ লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও রোমানিয়ায় ১২ হাজার সেনা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে না জড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। তবে ১২ হাজার মার্কিন সেনা কেন তিনি রুশ সীমান্তে পাঠালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার হাউজ ডেমোক্র্যাটিক ককাসে দেওয়া ভাষণে ওই সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি জানান জো বাইডেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধে জয়ী হবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করবে না ওয়াশিংটন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ার ফল হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তাই ইউক্রেনে আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে চাই না।
অবশ্য ন্যাটো সামরিক জোটের সীমারেখার প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ সমর্থন দেবে বলেও জানান বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এ কারণেই রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তবর্তী চারটি দেশে ১২ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ হামলায় পাল্টা পদক্ষেপ নিলে তা হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। কিন্তু ন্যাটো ভূখণ্ড রক্ষার একটি পবিত্র দায়িত্ব আমাদের রয়েছে।
জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের জনগণ রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মুখে অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যে নিরাপত্তা সহায়তা দিচ্ছে তা তাদের প্রতিরক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, রুশ বাহিনীকে মোকাবিলা করতে কিয়েভ যেন সামরিক অস্ত্র পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। ইউক্রেনের নাগরিকদের প্রাণ বাঁচাতে খাবার ও অর্থ সাহায্য পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ১৭ দিনের মতো রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। এই যুদ্ধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। এরই মধ্যে দেশটি ছেড়ে অন্তত ২৫ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিলেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটিকে ‘ঘায়েল’ করতে চাইছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়া সংকটে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
জেএইচটি