ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে মেয়াদ বাড়ল ন্যাটো মহাসচিবের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে মেয়াদ বাড়ল ন্যাটো মহাসচিবের জেনস স্টলটেনবার্গ

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের মধ্যেই ন্যাটো সামরিক জোটের মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের দায়িত্বের মেয়াদ বেড়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ব্রাসেলসে জরুরি সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা তার মেয়াদ ১ বছর বাড়ানোর বিষয়ে অনুমোদন দেন।

 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ন্যাটো মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের কথা ছিল। ইউক্রেনে রুশ হামলার মধ্যে ন্যাটো দেশগুলো তার মেয়াদ ১ বছর বাড়াল। ফলে তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।  

মেয়াদ বাড়ানোয় ন্যাটো দেশগুলোর প্রধানদের ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংকটের মুখোমুখি। জোট শক্তিশালী রাখতে, আমাদের নাগরিকদের নিরাপদে রাখতে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছি।

স্টলটেনবার্গ একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি নরওয়ের সাবেক লেবার পার্টির নেতা। ২০০০-২০০১ এবং ২০০৫-২০১৩ মেয়াদে তিনি নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি অর্থ এবং জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রীও ছিলেন।  

ন্যাটো জোট কী?
নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট) হচ্ছে ইউরোপীয় ও উত্তর আমেরিকার মোট ৩০টি দেশের সামরিক জোট। ন্যাটোর মতে, এর উদ্দেশ্য ‘রাজনৈতিক ও সামরিক উপায়ে এর সদস্যদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা’।  

১৯৪৯ সালে শীতল যুদ্ধ শুরুর প্রতিক্রিয়া হিসেবে জোটটি তৈরি হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের হুমকি থেকে পশ্চিমাদের রক্ষা করা। স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে অনেক প্রাক্তন সোভিয়েত দেশ ন্যাটোতে যোগদান করেছে, যা পুতিনের বিরক্তির কারণ।

ন্যাটোর সদস্য হওয়ার অর্থ কী?
ন্যাটোর অংশ হওয়ার অর্থ হলো, জোটভুক্ত দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা রাখা। সাইবার যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশলগত পদক্ষেপ থেকে শুরু করে অন্য সদস্যদের সুরক্ষার জন্য ন্যাটোর সীমানার মধ্যে সেনা স্থানান্তর করা পর্যন্ত হতে পারে।

সদস্যদের প্রতি বছর জাতীয় জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষার জন্য ব্যয় করার কথা, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব কম সদস্যই তা করছে।

জোটের সবচেয়ে পরিচিত দিক হলো চুক্তির ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ। সেখানে বলা হয়, ‘এক মিত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ সমস্ত মিত্রদের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হয়’।

ন্যাটোর ৩০ সদস্য রাষ্ট্র
আলবেনিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্টিনেগ্রো, নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। মস্কোর নির্বিচারে আক্রমণে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক মাসে বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত এক কোটি মানুষ। এর মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ৩৬ লাখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।