ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে রাস্তায় বসে শিশু! 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে রাস্তায় বসে শিশু!  ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে রাস্তায় বসে শিশু

সাদা কাপড়ে ঢাকা দেহের থেকে বাইরে বের হয়ে রয়েছে হাতটুকু। মাথাটা পরম যত্নে রাখা কোলের ওপর।

দুই বছরের ভাইয়ের দেহ এভাবেই নিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে আট বছরের শিশু গুলশান। ভারতের মধ্যপ্রদেশের মোরেনা শহরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এমন দৃশ্য।  

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা পরিচয় জানতে চাইলে ওই শিশু জানায়, তার নাম গুলশান। তার কোলে যে দেহটি রয়েছে, সেটি তার দু’বছরের ভাই রাজার।  

খবরে বলা হয়, দু’বছরের সন্তানের চিকিৎসা করাতে অম্বার বদফ্রা গ্রাম থেকে মোরেনা জেলা হাসপাতালে এসেছিলেন বাবা পূজারাম জাটভ। সঙ্গে এনেছিলেন বড় ছেলে গুলশানকেও। গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যায়নি। তাই শহরের জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ছোট ছেলেকে। তারপরেও বাঁচানো যায়নি তাকে। ছোট ছেলের মৃত্যুর পর তার দেহ নিয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়ার সময় বাবা পূজারাম দেখেন, যে অ্যাম্বুলেন্সটি তাদের নিয়ে এসেছিল, সেটি ফিরে গিয়েছে। জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও পাননি তিনি। ফলে ছেলের দেহকে কাপড়ে মুড়ে হাতে নিয়েই হাসপাতাল ছাড়তে হয় পূজারামকে।

পূজারাম বলেন, হাসপাতালের ঠিক বাইরে একটি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে ছিল। চালককে নিয়ে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু ও দেড় হাজার রুপি চাইছিল। অত টাকা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই রাস্তায় বেরিয়ে গাড়ি খুঁজছিলাম। রাস্তার এক পাশে গুলশনকে বসিয়ে তার কোলে ছোট ছেলের দেহ রেখে নিজে গাড়ি খুঁজতে বেরিয়েছিলেন পূজারাম। তারপরেই গোটা বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে।

পুলিশ জানায়, এক স্থানীয় থানায় খবর দেন। এরপরেই পুজরামদের গ্রামের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে শেষমেশ সেখান থেকেই অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয় তাদের।

সূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ১১ জুলাই, ২০২২
ইআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।