আগস্টের বন্যায় আফগানিস্তানে এখন পর্যন্ত ৪৩২ জন হতাহত হয়েছেন। মারা গেছেন অন্তত ১৮২ জন।
দেশটিতে ক্ষমতাসীন তালেবান ও জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এতে বলা হয়েছে, টানা বর্ষণ ও মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয়প্রদেশগুলোয় সৃষ্ট ব্যাপক বন্যার কারণে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। ক্ষয়-ক্ষতিও ব্যাপক।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আকস্মিক এ বন্যায় আফগানিস্তান জুড়ে ৩ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত ১৮২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আড়াইশজন।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় অনুসারে, গত ১৬ থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বন্যায় নিখোঁজ হয়েছে ৩০ জন। ১৩টি প্রদেশে ৮ হাজার দুইশটির বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সম্প্রতি পূর্ব লোগার প্রদেশের খুশি জেলা ইতিহাসের নজিরবিহীন বন্যা দেখা দেয়। এ জেলার জনগণের দাবি, এমন বন্যা তারা কখনও দেখেনি। সেখানকার বন্যা পশুপাখি, ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেলে লোকেরা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে।
আরব নিউজ আরও জানায়, উত্তর পারওয়ান প্রদেশের তিনটি জেলায় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কয়েক ডজন ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। স্থানীয় লোকজন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পরিমাণ কত, তা এখনই নিরূপণ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বৈশ্বিক সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার।
মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এ বন্যা মোকাবিলা একা ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের পক্ষে সম্ভব নয়। বিশ্ব, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ইসলামিক দেশগুলো থেকে আমরা সাহায্যের আবেদন করছি।
এদিকে, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশে আগামী দিনে বৃষ্টিপাতের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। জনগণকে সতর্ক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আশু সময়ে কী কী করতে হবে- তাও জানিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
গত জুলাইয়ে আফগানিস্তান জুড়ে প্রবল বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় ৪০ ও জুনে ১৯ জনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
এমজে