ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

১০০ শিশুর মৃত্যুর পর ইন্দোনেশিয়ায় তরল ওষুধ নিষিদ্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
১০০ শিশুর মৃত্যুর পর ইন্দোনেশিয়ায় তরল ওষুধ নিষিদ্ধ

ঠাণ্ডা-কাশির সিরাপ পান করে ইন্দোনেশিয়ায় চলতি বছর ১০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এসব ওষুধ পানের পর এসব শিশু মারাত্মক কিডনি জটিলায় ভুগতে শুরু করেছিল।

যে কারণে দেশটিতে সব ধরনের সিরাপ ও তরল ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

সম্প্রতি গাম্বিয়ায় কাশির সিরাপ পানে ৭০ শিশুর মৃত্যু হয়। এর পরই সিরাপ ও তরল ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করলো ইন্দোনেশিয়ার সরকার।

ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা কিছু সিরাপ ও তরল ওষুধে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরির (একেআই) উপাদান পাওয়া গেছে। এ কারণেই চলতি বছর শিশুগুলোর মৃত্যু হয়। ওষুধগুলো আমদানি করা নাকি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, তারা একেআই আক্রান্ত ২০০ শিশুর প্রতিবেদন পেয়েছেন। আক্রান্ত শিশুদের বেশিরভাগই পাঁচ বছরের কম বয়সী।

গাম্বিয়ায় ৭০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনার পর চারটি কাশির সিরাপের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চলতি মাসের শুরুতে এ সতর্কতা জারি করা হয়।

ডব্লিউএইচও যে চারটি সিরাপ বা তরল ওষুধের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয় তার মধ্যে একটি ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির। প্রতিষ্ঠানের সিরাপে অগ্রহণযোগ্য পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল ও ইথিলিন গ্লাইকোল রয়েছে। যা মারাত্মক কিডনি জটিলতার সঙ্গে সম্ভাব্যভাবে যুক্ত।

ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কিছু ওষুধেও একই রাসায়নিক যৌগ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, একেআই আক্রান্ত শিশুদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যে সিরাপ তারা পান করেছিল, তার মধ্যে ইথিলিন গ্লাইকোল ও ডাইথাইলিন গ্লাইকোল ছিল। এটি প্রমাণিত। কিন্তু এসব যৌগ শিশুদের সিরাপে থাকার কথা নয়। আর থাকলেও খুবই অল্প পরিমাণে। মোট কতটি প্রতিবেদনে বিষাক্ত এ ওষুধের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি সাদিকিন।

দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, গাম্বিয়ায় স্থানীয়ভাবে কাশির সিরাপ বিক্রি হয় না। অঞ্চলটিতে এত শিশুর মৃত্যু কাম্য নয়। আপাতভিত্তিতে সেখানে ৭০ শিশুর মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হলেও গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজিস্ট ডিকি বুডিম্যান বিবিসি ইন্দোনেশিয়াকে বলেন, যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে, ধরেই নিতে হবে পরিস্থিতির শিকার সংখ্যা হবে ব্যাপক। গাম্বিয়ায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

শত শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বিষাক্ত সিরাপ বা তরল ওষুধের কোম্পানির নাম বা ব্যান্ড কি, তা জানায়নি। এসব ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি প্রেসক্রিপশনেও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।