ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

চাশতের নামাজের ফজিলত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
চাশতের নামাজের ফজিলত

দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করা প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন নফল নামাজ রয়েছে।

হাদিস শরিফে আছে, বান্দার ফরজের ঘাটতি পড়লে নফল দিয়ে তা পূরণ করা হবে। তাই মুমিন বান্দারা ফরজ আমলের পাশাপাশি নফল আমলেও ব্রতী হন।

এর অন্যতম একটি নফল ইবাদত হচ্ছে চাশতের নামাজ। দিনের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়ে গেলে, চাশতের নামাজের সময় শুরু হয় এবং সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়া পর্যন্ত বাকি থাকে।

সময়ের হিসাবে গ্রীষ্মকালে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। আর শীতকালে শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে। এ নামাজকে আরবিতে ‘সালাতুদ্দোহা’ বলা হয়।

চাশতের নামাজের রাকাতের সংখ্যা হাদিসে দুই, ছয়, আট ও বারো এসেছে। তাই চাশতের নামাজ কমপক্ষে দুই রাকাত পড়া আবশ্যক। দুই রাকাতের বেশি বারো রাকাত পর্যন্ত যতইচ্ছা পড়বে।  

হজরত আয়েশা (রা.) আট রাকাত পড়তেন। তিনি বলতেন, যদি আমার মা-বাবাও কবর থেকে উঠে চলে আসেন, তাহলেও আমি তা ছাড়ব না। (মিশকাত শরিফ)

ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রা.) এর বোন উম্মেহানি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা বিজয়ের দিন আমার ঘরে এসে দুপুরের পূর্বে চাশতের আট রাকাত নামাজ আদায় করেছেন। (বুখারি, হাদিস নং: ২০৭)

অন্য হাদিসে আছে, তিনি সংক্ষিপ্তভাবে তা আদায় করেছেন। তবে সংক্ষিপ্তভাবে পড়লেও রুকু এবং সিজদায় তিনি পূর্ণ ধীরস্থিরতার সঙ্গে ছিলেন। প্রতি দুই রাকাত পরপর সালাম ফিরিয়ে ছিলেন।

বুরাইদা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষের শরীরে ৩৬০টি জোড় রয়েছে।  অতএব মানুষের কর্তব্য হল প্রত্যেকটি জোড়ের জন্য একটি করে সদকা করা। ’ 

সাহাবায়ে কেরাম (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! কার শক্তি আছে এই কাজ করার? তিনি (সা.) বললেন, মসজিদে কোথাও কারো থুতু পড়ে থাকতে দেখলে তা ঢেকে দাও অথবা রাস্তায় কোনো ক্ষতিকারক কিছু দেখলে সরিয়ে দাও। তবে এমন কিছু না পেলে, চাশতের দুই রাকাত সালাতই এর জন্য যথেষ্ট। ’ (আবু দাউদ, হাদিস নং ৫২২২)

এই হাদিসটি মূলত চাশতের সালাত বা সালাতুদ্দুহার অপরিসীম গুরুত্ব ও মাহাত্ম্যের কথাই তুলে ধরে। এর থেকে আরো বোঝা যায়, চাশতের নামাজকবা সালাতুদ্দুহার মাধ্যমে ৩৬০টি সদকার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়।

আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে আমল করার উপদেশ দিয়েছেন, প্রতি মাসের প্রথম তিনদিন রোজা রাখা; চাশতের নামাজ (সালাতুদ্ দুহা) আদায় করা এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিতরের নামাজ আদায় করার। (বুখারি, হাদিস নং ২৭৪; মুসলিম, হাদিস নং ১৫৬০)

চাশতের নামাজ মুমিনদের জন্য উপহার স্বরূপ। এটা আদায় করলে আল্লাহ বিপুল পুণ্য ও সওয়াব দেবেন। আখেরাতে এর প্রতিদান দেবেন। তবে এই নামাজ না পড়লে কেউ গুনাহগার হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।